1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫ , ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিবির সেই এসআই হাসানকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ সোপর্দ 

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় : ২৪-০৮-২০২৫ ০৩:২৬:৪১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৪-০৮-২০২৫ ০৩:২৬:৪১ অপরাহ্ন
ডিবির সেই এসআই হাসানকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ সোপর্দ  সেলফি নিচ্ছেন মাহবুব হাসান
​​​​​​
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) বরখাস্ত হওয়া আলোচিত সেই এসআই মাহবুব হাসানকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৩ জুলাই) দিনগত গভীর রাতে নগরীর হজের মোড় এলাকায় স্থানীয় জনতা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। আরএমপির চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, ডিবির এসআই হাসান স্বঘোষিত সন্ত্রাসী ছিলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ করতেন। এরপর দলীয় প্রভাবে পুলিশে চাকরি বাগিয়ে নেন। ডিবিতে পোস্টিং নিয়ে এখানকার বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও পঙ্গু করেছেন হাসান। ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামকে আটক করে পিস্তলসহ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখান তিনি। বাদ যাননি সাধারণ মানুষও। গ্রেফতার ও মামলা বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 
 
নগরীর রেলগেটে রাজিব আলী রাতুল নামে একজনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান ডিবির হাসান। তাকে নির্যাতন ও মাদক দিয়ে ফাঁসানো ছাড়াও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করেন। হাসিনার পতনের পর রাতুলের বাবা ওই হাসানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
 
ওই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর তৎকালীন এসআই মাহবুব হাসান সাদা পোশাকে মাসুদ রানার বাড়িতে গিয়ে তার ছেলে রাজীব আলীর (৩১) মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নগরীর শিমলা বাগানে তুলে নিয়ে যান। এরপর মাসুদ রানাকে ফোন করে জানানো হয়, তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা না দিলে রাজীবকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে। শিমলা বাগানে গিয়ে মাহবুব হাসানের হাতে পাঁচ লাখ টাকা তুলে দেন মাসুদ রানা। এ সময় মাহবুব হাসান রাজীবের বাবাকে বাড়ি চলে যেতে বলেন এবং রাজীবকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু পরদিন রাজীবকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
 
দীর্ঘ ১৬ মাস কারাভোগ করার পর জামিন পান রাজীব। এর এক মাস আগে মাহবুব হাসানের সঙ্গে নগরীর রেলগেট এলাকায় দেখা হলে তিনি টাকা ফেরত চান। তখন মাহবুব হাসান মারমুখী আচরণ করে বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ করেছেন। টাকা চাইলে মেরে ফেলা হবে বলে তিনি ভুক্তভোগীকে ভয় দেখান।
 
এছাড়া গতবছর গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহীতে দুজন শহীদ হন, আলী রায়হান ও সাকিব আনজুম। ডিবির বরখাস্ত হওয়া এসআই হাসান দুটি হত্যা মামলারও আসামি। শনিবার দিনগত রাতে তাকে গণধোলাই দেওয়ার খবর পেয়ে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
 
জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর সাংগঠনিক সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি হাফেজ খাইরুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এসআই হাসানের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা থানা পাহারা দেব। তাকে সঠিক মামলায় আদালতে তুলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
 
চন্দ্রিমা থানার ওসি মেহেদি মাসুদ বলেন, হাসানকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ